শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর)।।
বাসন্তী হাওয়ায় দুর হয়েছে শীতের রুক্ষতা। সবুজ শ্যাম লিমায় নতুন পাতার ফাঁকে কোকিলের ডাক আর ঝিঁঝি পেকার সুরের মুর্চনায় চারদিক। এখানের কান্তা শ্রান্ত মানুষগুলোর প্রকৃতির সাথে সখ্যতা উপভোগের একমাত্র নিরাপদ নৈসর্গিক স্পট কাউখালী উপজেলা ভবন সংলগ্ন পুকুর পাড়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে ফুটপাত আর বসার জন্য রয়েছে স্থায়ী বেঞ্চ। টলমলে পরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহার করার জন্য আছে দুটি সান বাধানো ঘাট। পুকুরের চারিদিক পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে বাহারী রংঙের সংগৃহিত ফুটন্ত ফুলের পরশে মোহনীয় হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা চত্বর। যা নিয়মিত পরিচর্যার ফলে সতেজ থাকে সব সময়।
বসন্তের সিগ্ধো সকালে হালকা শিশির বিন্দুতে ভিজে লাল, হলুদ, বেগুনী, সাদা আর ভুট্টা গাছের সবুজ পাতাগুলো আরো সতেজ হয়ে ওঠে। পরন্ত বিকেলে সূর্যমূখী, ডালিয়া, গাঁদ, সিলভিয়া ফুলে উড়ে বেড়ায় নানা রংঙের প্রজাপতি আর মৌমাছি। সন্ধ্যায় সোডিয়াম বাতির আলোর আভা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিক। এটা কৃত্রিম হলেও প্রাকৃতিক নৈসর্গিক আভার মতোই মনে হয়। প্রকৃতির এই অপরূপ সাজে কবিত্ব ভাব হয়ে ওঠে এখানে আসলে। মনের অজান্তেই হৃদয়ের গভীর থেকে চলে আসে সুরের দু’একটা গানের কলি। পরিচ্ছন্ন পরিপাটি দেয়াল গুলোয় শিল্পীর তুলির আচড়ে আছে নজরকাড়া আলপনা। দক্ষিনা হাওয়ায় মৃদু মৃদু করে উড়তে থাকে চারিদক ঘেরা প্লাষ্টিক পাইপে উড়ন্ত বিভিন্ন রংঙের কাপড়ের নিশান। পূর্ব দিকের দেয়ালে আঁকা গাঢ় সবুজের মাঝে টকটকে লাল রংঙের বিশাল জাতীয় পতাকা। উপজেলা চত্বরের মাঝে রয়েছে সুনিপুন শিল্পীর হাতে ফুটন্ত জাতীয় ফুল শাপলা। আছে ঝুলন্ত ফুলের টবে বিভিন্ন ফুলের গাছ। যেদিকে তাকাই সবদিকেই মন জুড়ানো অপরূপ সৌন্দর্য্য। শুধু সৌন্দর্য্য বর্ন্ধন ই নয়। উপজেলা চত্বরের জায়গাটাই পাকা। যেখানে রয়েছে শিশু, কিশোর, যুবক কিংবা বয়স্কদের খেলা ধুলার মুক্ত মাঠ যা বিকেল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মূখরিত থাকে। উপজেলা চত্বরে এ নৈসর্গিক দৃশ্য করে তুলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা। এ উদ্যোগকে উপজেলা সকল বয়সের নারী পুরুষ এমনকি আগন্তুকরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন।
উপজেলার চত্বরে বেড়াতে আসা নিলতী গ্রামের মোঃ দিদারুল ইসলাম চুন্নু বলেন, এই ইউএনও স্যার কাউখালীতে যোগদানের পরে উপজেলাকে দালালমূক্ত এবং দূর্ণীতিমুক্ত করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যাহা কাউখালী বাসীর হৃদয়ে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা বলেন, আমি হয়তো এখানে বেশীদিন থাকবোনা কিন্তু উপজেলার মানুষগুলো যাতে কিছুটা হলেও বিনোদন পায় তার জন্য আমার এ প্রচেষ্টা তবে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু স্যারের বরাদ্দ এবং অনুমতি পেলে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ আরও প্রসারিত করতে পারবো।